সিলেট থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক:: ই-পাসপোর্ট প্রচলনের পর থেকে বেড়েছে এর চাহিদা। গ্রাহকদের চাহিদা বাড়ায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়। তথ্য প্রযোক্তির মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বাচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে নানা মুখি উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। যার করণে সিলেট নগরীর আলমপুরে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের কার্যালয়ে এমআরপি থেকে ই-পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে দীর্ঘক্ষণ লাইন দাঁড়িয়ে থেকেও জমা দিচ্ছেন আবেদনকারীরা। আবেদনকারী শনাক্ত ছাড়া কোন আবেদন জমা নেয়া হচ্ছে না।
সিলেট পাসপোর্ট অফিস সুত্রে জানা গেছে, সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ে এরই মধ্যে ই-পাসপোর্টের জন্য প্রায় সাত হাজার আবেদন জমা পড়েছে। এরই মধ্যে প্রায় দুই হাজার আবেদনকারী ই-পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচ হাজার ই-পাসপোর্ট প্রিন্টের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে অফিসের পরিচালক একে এম মাজহারুল ইসলাম জানান, ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরুর পর থেকে দিন দিন এমআরপির জন্য আবেদন কমছে। ই-পাসপোর্টের চাহিদা বেড়েছে। ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা যাতে পাসপোর্ট অফিসে এসে কাঙ্খিত সেবা পান সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিতে অফিসে প্রায় প্রতিদিনই মনিটরিং করা হয়। গ্রাহকরা নিজেরাই সেবা গ্রহন করছেন। সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের আশে পাশে কোথাও দালালের চিহ্ন পাওয়া যাবে না। তাই গ্রাকরদের কাছেও তাদের কাঙ্খিত সেবা পৌছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
সিলেট পাসপোর্ট অফিসের সংশ্লিষ্টরা বলেন, বর্তমান পরিচালক অত্র কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে ই পাসপোর্টের সুবিধা সম্বিলিত উদ্বুত্তকরণ কর্মসুচীর অংশ হিসাবে গত কয়েকদিনে এমআরপির চেয়ে ই-পাসপোর্টের চাহিদা বেড়েছে দশগুন । আমরা ই-পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের উৎসাহিত করছি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন ই-পাসপোর্টধারীরা নিজেরাই ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন।
ই পাসপোর্ট আবেদনকারী জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দা রাসেল আহমদ জানান, আমি দোবাই বসবাসকরি বর্তমানে দেশে রয়েছি। আমি অনলাইনে আবেদেন করে সাধারন ফি জমা দিয়ে ২২ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি। কোন দালাল বা ট্রাভেল্স এজেন্সির লোকের সাহায্যে নিতে হয়নি আমার। তবে আবেদনকারীর তুলনায় ফিঙ্গার ও ছবিতুলার লোকের সংখ্যা কম এজন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট আবেদন যে প্রর্যাপ্ত লোকবল বৃদ্ধি করার জন্য।
সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় পাসপোর্ট অফিসের প্রবেশ গেটেই দায়িত্বরত আনসার ও পুলিশ সদস্য পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের আবেদনপত্র/ডেলিভারি রিসিট কিংবা অফিসে ঢোকার প্রয়োজনীয়তা যাচাই করে লোকজনকে ভেতরে প্রবেশে সহায়তা করছেন।
এ বিষয়ে দায়িত্বরত একাধিক আনসার সদস্য জানান, পাসপোর্টে প্রয়োজন ব্যতীত অবাঞ্ছিত ব্যক্তি যেন ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা থাকায় তাদের (অবাঞ্ছিত ব্যক্তি) প্রতিরোধের জন্য এভাবে যাচাই করা হচ্ছে।
পাসপোর্টের তথ্য জানতে আসা রহিমা বেগম জানান আমি তথ্য শাখায় ই পাসপোর্টের বিষয়ে জানার জন্য যোগাযোগ করিলে তথ্য কেন্দ্রের কর্ম কর্তা খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন আমি এই সেবা পেয়ে সন্তুুষ্ট।
Leave a Reply